নিজস্ব প্রতিবেদক : একুশে বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যার বিচারে পুরুষের তুলনায় নারী লেখকরা সেই অর্থে এগোতে পারেননি সমানতালে। তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রতিবছরই বাড়ছে নতুন নতুন নারী লেখক। বাড়ছে তাদের বই বিক্রিও। প্রকাশকরা বলছেন, পরিবার ও সমাজের পিছুটান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে সাহিত্যে নারী এগিয়ে যাবে নিজ ইচ্ছাশক্তির বলেই।
প্রাণের টানের কাছে অনেক আগেই হার মেনেছে সকল শঙ্কা আর উদ্বেগ। বই মেলায় এখন উপচে পড়া ভিড়। প্রথম দিকে দর্শনার্থী তকমা পাওয়া মানুষটিও এখন পুরোদস্তুর পাঠক।
পাশাপাশি বসে নেই প্রকাশকরাও। মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন বই। বইয়ের সংখ্যার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে নারী লেখকের সংখ্যা।
নিজের বইয়ের বিষয়ে নারী লেখক নিশাত ইসলাম বলেন, আমার ’মন’ বইটির প্রথম সংস্করণ শেষ। কাল দ্বিতীয় সংস্করণ আসবে। এই বইটি বেশ ভালো যাচ্ছে।
রয়েছে ঘর-সংসারের চাপ। একইসঙ্গে রয়েছে সমাজ ও পরিবারের পিছুটান ও নানা প্রতিবন্ধকতা। তবুও সবকিছু পিছনে ফেলে আজ যারা মেতেছেন সৃজনের আনন্দে, তাদের কণ্ঠে শুধুই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। এবিষয়ে আঁখি সিদ্দিকা বলেন, নারীদের এগিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্রতিকূলতা রয়েছে। অনেক বাঁধা রয়েছে। সমাজের বাস্তবতা রয়েছে। কর্মজীবন ও সংসার সব মিলিয়ে একটি যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে তাদের লিখতে হয়।
এদিকে কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. নাসরীন জেবিন বলেন, আত্মিক জায়গা থেকে, নিজের অস্ত্বিতের জায়গা থেকে নিজের সম্মানিত করার যে জায়গা, নারী পুরোপুরি তা এখনও অর্জন করতে পারে নি।
তবে সাহিত্যে নারী-পুরুষের বিভাজন করতে না চাইলেও প্রকাশকরা বলছেন, তাদের কাছে অগ্রাধিকার পায় পা-ুলিপির মান। তারা বলেন, লেখনীর শক্তি যদি থাকে, সেখানে হুমায়ূন আহমেদও পিছিয়ে পড়তে পারেন, ইমদাদুল মিলনও পিছিয়ে পড়তে পারেন, যদি লেখনী শক্তি তাদেরও পিছনে ফেলে যায়।
সামাজিক বৈষম্য, কুসংস্কার, অন্ধকার, আর অজ্ঞতা রোধে নারীর হাতে কলম চলুক সমানতালে। কলমের শক্তিতেই সাহিত্যাঙ্গন দাপিয়ে বেড়াক নারী।